সীমান্ত পেরিয়ে ভালোবাসার টানে ফিরে এলেন মিথিলা। ফের আরও একবার মিলন হল দম্পতির
স্বামী এবং স্ত্রী কে আলাদা করতে পারলো না মহামারী। ভালোবাসার শক্তির কাছে বারবার হেরে যায় পরিস্থিতি। পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকলে তাদের কখনোই আলাদা করা যায় না। এই কথাটাই আরে একবার প্রমাণিত হলো বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী এর ক্ষেত্রে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় কি আমরা সকলে চিনলেও তার স্ত্রীকে হয়তো অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশের অভিনেত্রী, অধ্যাপিকা এবং সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
গত বছর ৬ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল তাদের। তারপর যে যার কাজে কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছিলেন। এরপরই হয়ে যায় লকডাউন। দেশে ফেরার পরিকল্পনা সত্ত্বেও দুটি আলাদা দেশে আটকে পড়েছিলেন নবদম্পতি।

চলতি বছরের ১৫ ই আগস্ট, স্বামীর কাছে ফিরে এসেছিলেন।এই সুখবরটি সোশ্যাল মিডিয়া সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছিলেন যে,”১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বহু মানুষ সীমান্ত পার করেছিলেন ঘৃণার কারণে। ২০২০ স্বাধীনতা দিবসে দুজন সীমান্ত পার করলেন ভালোবাসার জন্য।
ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর আবারো তাদের প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের উড়ে যেতে হয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় কে। কলকাতা তে থেকে গেল স্ত্রী মিথিলা। জন্মদিনের প্রাক্কালে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানো হয়নি সৃজিতের। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন তাদের একসাথে কাটানো হল না।
এদিকে স্বামীকে না পেয়ে বিরহে অবস্থা খারাপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী মিথিলা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখলেন, “শুভ জন্মদিন মিস্টার মুখার্জি। আমার জীবনে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সারা জীবন এরকমই হাসি খুশি থাকো। করোনা মহামারী আমাদের আলাদা করে রেখেছে। খুব সাবধানে থেকো,খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে এসো”।
গত ডিসেম্বর মাসে সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর সুজিত এবং মিথিলা মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ড। পরবর্তী সময়ে কাকাবাবু সিরিজের শুটিং করতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পাড়ি দেন আফ্রিকা। মিথিলাও মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে যান। এর মধ্যেই জারি হয়ে যায় লকডাউন। তখন কোন রকমে সৃজিত মুখোপাধ্যায় কলকাতায় ফিরে এলেও বাংলাদেশ থেকে আসতে পারেননি মিথিলা। দীর্ঘ সময় আলাদা থাকতে হয় নবদম্পতিকে। অবশেষে ভালোবাসার জয় খুলে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সীমান্ত পেরিয়ে স্বামীর কাছে ফিরে এসেছেন মিথিলা এবং তার সন্তান।