বিয়ের পর বরকে স্কুটিতে করে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গেলো নববধূ, ভাইরাল ভিডিও

কোন অংশে ছেলেদের থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না মেয়েরা। আর কেনই বা পিছিয়ে থাকবে। আজ ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত কাজ করতে পারে মেয়েরা। চাকরি করা থেকে শুরু করে সংসার সামলানো, প্রত্যেকটি কাজ নিখুঁতভাবে করতে দেখি আমরা মেয়েদের। তবে বর্তমান সমাজে ছেলেরা মেয়েদের পাশের সমানভাবে দাঁড়াতে শিখেছে। (Siliguri Viral News : New bride Sudeshna Sarkar rides her husband Krishna Deb on scooty and goes to laws house)

মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ছবি এবং ভিডিও আমরা দেখতে পাই যা আমাদের মনোরঞ্জন করে এবং যেগুলি দেখে আমরা এক কথায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। তেমনি একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্কুটিতে বসে রয়েছে নবদম্পতি। (bier por lal holud benarasi pore bor Krishna Deb ke nia scooty chaliye sashur bari Bagdogra, Siliguri gelo nobo bodhu Sudeshna Sarkar )

নববধূর পড়ে রয়েছে লাল হলুদ বিয়ের বেনারসি। গা ভর্তি সোনার গয়না। মাথায় সিঁদুর এবং হাতে শাঁখা পলা। বোঝাই যাচ্ছে সদ্য বিয়ে হয়েছে নববধূর। স্কুটি চালিয়ে সদ্য বিয়ে করা বরকে নিয়ে যুবতী যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। বাসি বিয়ের পর দুজনে একসাথে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। (New bride Sudeshna Sarkar Scooty video with husband)

কিছু বছর আগেও যা ছিল আমাদের কল্পনার অতীত, বর্তমান সমাজে সেগুলি আমরা সত্যি হতে দেখছি। মহিলা পুরোহিত থেকে শুরু করে কন্যাদান করা, এমনকি মেয়েরা বাবা-মাকে কনকাঞ্জলি ও যায় না আজকাল। যে সমস্ত নিয়মের সত্যি কোন মানে থাকেনা, সেগুলি পালন করতে এখন নারাজ যুব সম্প্রদায়।

লাইভ ভিডিওতে যে নববধূকে দেখতে পাওয়া গেছে, শুনতে পাওয়া গেছে তার বাড়ি শিলিগুড়িতে। তার নাম হলো সুদেষ্ণা। বিয়ের পর বরকে স্কুটিতে চাপিয়ে বাগডোগরায় শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রাওনা হয়েছিল সে। নবদম্পতির এই কান্ড কারখানা ক্যামেরাবন্দি করেছে সুদেষ্ণার দাদা সৌত্রিক বসু। (Sudeshna Sarkar brother name – Soutrik Basu. Sudeshna Sarkar home – Siliguri)

এই প্রসঙ্গে সুদেষ্ণা সরকার জানিয়েছেন, আগাগোড়াই তিনি স্কুটি চালাতে ভালোবাসেন। প্রথম থেকেই তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন যে, নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন কে আনন্দ মুখর করে তোলার জন্য তিনি স্কুটি চালিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবেন।

পেশায় ব্যবসায়ী সুদেষ্ণার বর কৃষ্ণদেব জানিয়েছেন, আমাদের সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়। আগে থেকে আমরা একে অপরকে চিনতাম না। তবে বিয়ের আগে সুদেষ্ণার ইচ্ছার কথা আমি শুনেছিলাম। শুনে আমিও রাজি হয়ে যাই। সেইমতো বিয়ে করার পর আমরা স্কুটি করে বাড়ি যাই। তবে গোটা বিষয়টা যে এতটা উপভোগ করব তা সত্যি ভাবিনি।

সুদেষ্ণা দাদা সৌত্রিক বসু জানালেন, আমার বোন স্কুটি চালাতে ভীষণ ভালোবাসে। আমরা কোন কিছুতেই ওকে বাধা দিইনি কোনদিন। এমনকি শ্বশুরবাড়ি তরফ থেকেও কোনো বাধা আসে নি। বরং সকল এ বিষয়টি মজার ছলেই নিয়েছেন।