নিউটাউনে হোটেলে খুনে বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য
নিউটাউনে হোটেলের ঘরে পাওয়া যায় এক মহিলার মৃতদেহ, পড়েছিল ভাঙা মদের বোতলের কাচ। হোটেল কর্তৃপক্ষ সময়মতো তাদের সারা না পেয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে সেই মহিলার মৃতদেহকে। এরপরে এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করতে নামে। (Kolkata murder case News : New information found in New Town female murder case)
তদন্ত করার সময় সেই হোটেলের ঘরটিতে পাওয়া যায় একটি চিরকুট যেখানে লেখা ছিল,” তোকে মারতে চাই নি কিন্তু বাধ্য হয়েছি মারতে” এইরকম একটি লেখাকে ঘিরে যথেষ্ট রহস্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কেন এখন এবং কেই বা এই ধরনের নাটকীয় ভঙ্গিতে চিরকুটেতে লিখেছেন সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল।
এর পরেই সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর দেখা যায় সেই ব্যক্তি কে,যে ওই মহিলার সাথে ওই ঘরে ছিল। এর পরেই এই ঘটনা তদন্ত আরো জোরালো হয়। উঠে আসে এই ঘটনার ভিত্তিতে নানা তথ্য।
ওই মহিলার পরিবার থেকে জানা যায় যে অভিযুক্ত যুবক ফেসবুকে ওই মৃত মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং তারপরেই সেই যুবক মৃত মহিলা অর্থাৎ চুমকিকে কাজ দেওয়ার জন্য কলকাতায় ডেকেছিল। খবর সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবারে সাড়ে সাতটা নাগাদ তারা বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। (A jubok young man meets Chumki on Facebook and murders her on a hotel)
বেলা ১ টার সময় ওই হোটেলে আসে ওই দুজন। তবে এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি যে কেন ওই মহিলাকে ওই যুবক খুন করে পালিয়েছে। আর কি করেই বা এত তাড়াতাড়ি একজনকে ভরসা করে চুমকি কলকাতায় এসেছিল। মৃতদেহটি ফরেনসিক টেস্ট এর পর জানা যায় যে, চুমকিকে চার্জার এর তার দিয়ে গলা আটকে ধরা হয়েছিল।