কলকাতাদেশরাজ্যসর্বশেষ

ভুয়ো কলসেন্টার খুলে আর্থিক প্রতারণা, পুলিশের জালে ৯ প্রতারক

গতকাল প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি আবাসন ও প্রতাপাদিত্য রোডের একটি বাড়িতে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো ৯ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ কয়েক বছর ধরে কলসেন্টারের নামে কোটি কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করেছেন তারা। দুটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি ল্যাপটপ, মার্সিডিজ গাড়ি এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতার গোয়েন্দা শাখার পুলিশ তল্লাশি চালায় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার আবাসন এবং প্রতাপাদিত্য রোডের ওই বাড়িতে। বহুদিন ধরেই বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে কর্মসংস্থানের নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে উদ্ধার হ‌ওয়া অর্থ ,ল‍্যাপটপ ও মার্সিডিজ।

এই প্রথম নয় কলকাতায় এরআগে বহুবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অঞ্চলে ভুয়ো কর্মসংস্থানের নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কিভাবে এরকম আর্থিক প্রতারণার কর্মকাণ্ড দুষ্কৃতীরা চালিয়ে যেতে পারে সেটি বড় প্রশ্ন। বহু বছর ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা।

কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়েছে শহরের বহু যুবক-যুবতী। এরকম ভুয়ো কলসেন্টার গুলি থেকে চাকরি দেওয়ার নামে যোগাযোগ করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার পর কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীরা কর্মসংস্থানের তাগিদে পা দিয়ে ফেলেন প্রতারকের ফাঁদে। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়োসংস্থা চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

গতকাল প্রগতি ময়দান থানা এলাকা এবং টালিগঞ্জের প্রতাপাদিত্য রোড এর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই প্রতারণা কান্ডের সঙ্গে কোন চক্র জড়িয়ে রয়েছে কিনা। এবং কে বা কারা অভিযুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায় যে সারা শহরে ছড়িয়ে থাকা এরকম ভুয়ো কর্মসংস্থা বা ভুয়ো কলসেন্টারের সমস্যা থেকে কবে মুক্তি পাবে যুব সমাজ ? আর ঘটবে না এরকম আর্থিক প্রতারণার মত দুষ্কর্ম ?