সর্বশেষ

বছরে 60-70 টি নৌকোতে সমুদ্রে আসত কঙ্কাল! রহস্য ফাঁস

ফাঁস হয়ে গেল প্রতিবছর নৌকোতে করে হঠাৎই ভেসে আসা কঙ্কালের গুপ্তকথা। জানা গেছে প্রতিবছর এই 60 থেকে 70 টি নৌকোর মাধ্যমে সমুদ্রে ভেসে আসছে অনেকগুলো কঙ্কাল। আর এই নৌকো সমূহকে ভুতুড়ে নৌকা বলে অভিহিত করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার আরো বেশি সংখ্যায় কঙ্কাল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কোন কোন বছরে প্রায় একশটি নৌকো দেখা গেছে। কিন্তু এই কঙ্কাল কোথা থেকে এলো বা কি বা এর রহস্য?

তবে সেই রহস্য ফাঁস হয়ে গেল। এখনো সেটি রহস্য হিসেবে নেই। অতীতে অনেক বছর ধরে জাপানে প্রতি বছরে 60 থেকে 70 টি পর্যন্ত নৌকা দেখতে পাওয়া যেত। আর এই নৌকার মধ্যে প্রচুর কঙ্কাল থাকতো। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে নৌকোতে কিছু থাকত না। ফলে জনসাধারণের মধ্যে রহস্য দানা বাঁধতে থাকে।

ফলে পুলিশের তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়। তদন্তের ফলে বোঝা গেল এই সমস্ত নৌকোতে কিছু কথা লেখা হয়েছে। লেখাগুলি থেকে স্পষ্ট হয় যে ওই নৌকাগুলি মূলত কিম জং উন অধিকৃত উত্তর কোরিয়ার নৌকা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো উত্তর কোরিয়া ও জাপানের দূরত্ব প্রায় 1000 কিলোমিটার। তো কি কারনে ওই ছোট ছোট নৌকা তে করে খাবার ও জল ছাড়া এসব ভয়ানক জিনিস ভেসে আসবে?

পরবর্তীকালে রহস্য আরো বেড়ে যায়। শেষমেষ জানা গেল পুরো কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। চীনের সব বড় বড় মৎস্য ব্যবসায়ীরা নাকি নিয়মকানুনের বেড়াজাল ভেঙে দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সমুদ্রতটে চলে আসে। আর তখন সেই সব জায়গা থেকে সব মাছ ধরে নেয়।আর এরই ফলে উত্তর কোরিয়ার যে সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট নৌকা দিয়ে মাছ ধরে তারা আর কোন মাছ শিকার করতে সক্ষম হয় না।

ফলে বাধ্য হয়ে তাদেরকে ওই ছোট ছোট নৌকা দিয়ে দুর্গম গভীর সমুদ্রে চলে আসতে হয়। হলে সেখান থেকে হাজারো সমস্যা সৃষ্টি হয়। নৌকাগুলি অত্যন্ত ছোট হওয়ায় গভীর সমুদ্রে চলে এলে সমুদ্রের ঢেউয়ে ওই নৌকাগুলি পথ হারিয়ে ফেলে। ফলে তারা আর কোনদিকে যাবে কিছু বুঝে উঠতে পারে না।

প্রকৃত পক্ষে তারা হারিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর সমুদ্রের ঢেউ এর মাধ্যমে তারা কোন না কোন সমুদ্র তটে চলে আসে। যেমন জাপানের সমুদ্রতট। কিন্তু ততদিন ওই নৌকার মাঝি গুলো সবাই স্বাভাবিকভাবেই জীবিত থাকে না।

সরকারের গণনা অনুসারে এতোকাল যাবত ৬০০ টি নৌকা এরকমভাবে ভেসে ভেসে জাপানে দেখা গেছে। জাপান পরবর্তীকালে তদন্ত শুরু করে। এতে উঠে আসে যে নৌকার সমস্ত মানুষের কঙ্কালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নৌকাগুলোর সদ্গতি করা নিয়ে সবকিছুতে জাপানের প্রচুর খরচ হয়ে যায়।

দেখুন আপনারা নিচের ভিডিওটি। তাহলে এই ব্যাপারটি আপনাদের কাছে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সবশেষে একটা কথাই বলা যায় যে উত্তর কোরিয়ার এই সমস্ত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের খাওয়া-দাওয়া এবং জলের অভাবে গভীর সমুদ্রে মৃত্যু ঘটছে। আর এই সমস্ত দুর্দশার জন্য চিন দায়ী।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *