রাজ্যসর্বশেষস্বাস্থ্য

এবারে ইনজেকশন নেওয়ার সময় আপনার লাগবেনা ব্যথা ! কেনো তা দেখুন

ইনজেকশন নেওয়ার কথা শুনলেই ভয়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে বুক। আর মজার ব্যাপার হল যে, অনেকের গায়ে ইনজেকশন পুশ করার আগেই তারা ব্যাথায় চিৎকার করে ওঠেন। আর সত্যি কথা বলতে অনেক ইনজেকশন আছে যেগুলো নিলে সাতদিন পর্যন্ত ব্যথা থাকে। কিন্তু এবার এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। চলুন ব্যাপারটা সম্পর্কে আমরা সবাই জেনে নিই।

ভারতের বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুর থেকে এক ধরনের নিডল আবিষ্কার করেছে। আর এই সূচটির বৈশিষ্ট্য হলো যে, এর মাধ্যমে ইনজেকশন নিলে ব্যথার পরিমাণ অনেক কমে যাবে (Your pain will be reduced in this new injection than previous)। জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে যে ধরনের সূচ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয় তার থেকে অনেকাংশে সরু হবে এই নতুন সূচ।

আর এই সূচটির নাম দেয়া হয়েছে মাইক্রোনিডল। এর দ্বারা ব্যথা ছাড়াই ইনজেকশন পুশ করা সম্ভব হবে। এই বিখ্যাত ইনোভেশন এর পেছনে রয়েছেন খড়গপুর আইআইটি ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর অধ্যক্ষ ও গবেষক তরুণ কান্তি ভট্টাচার্য্য। এই পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিষেধক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রেও এই নতুন ব্যবস্থাটি ভীষণ কাজে লাগবে। তাছাড়া ইনসুলিন কিংবা অন্যান্য বড় বড় অশোকের ইঞ্জেকশন এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেওয়া যাবে।

সূত্র থেকে জানা গেল, বর্তমানে যে মাপের সূচ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেই তুলনায় অনেকাংশে শুরু করা হয়েছে নতুন এই সূচ। তবে শুরু হলে ওষুধ দেয়ার ক্ষমতা কম হবে এরকম কোন ব্যাপার নেই। সমান ক্ষমতা থাকবে। তাছাড়া কোন ভাবে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত মজবুত ভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে।
চলুন এটি কিভাবে কাজ করে তা জেনে নেই ?

এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি অনেকটা ব্যান্ডেড জাতীয়। আপনাকে শুধুমাত্র ত্বকের উপরে লাগিয়ে রাখতে হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় ড্রাগ দেহে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। এই পদ্ধতিটির বিজ্ঞানভিত্তিক নাম হলো, “ট্রানস ডারমাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্তেম।” এখানে এক একটি প্যাচে প্রায় 100 টি নিডল রয়েছে। আরে গুলির সাইজ চুলের থেকেও ক্ষুদ্র। আর এর ফলেই এগুলি সেন্সর নার্ভকে স্পর্শ করতে পারবে না। আর এর ফলেই ব্যথা লাগার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

প্রসঙ্গত, আইআইটি গবেষকদের এই প্রতিবেদন নেচার জার্নালে পাবলিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিডলটি প্রাণীদেহে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে আইআইটির গবেষকরা সফল হয়েছেন। আর এখন মানব শরীরে এটি ট্রায়খল দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই এটি মানবদেহে সফল হয়ে যাবে। আর তারপরেই তারা বাজারে ছাড়ার অনুমতি পাবে।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।