করোনা মহামারীতে বাকি ২১০০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল

দীর্ঘ চার মাস যাবত লকডাউন চালু ছিল। ফলে সেই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ এবং শিল্প কারখানা গুলি বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারেনি। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার মোট পাবে ২১০০ কোটি টাকা (2100 Crores current bill debt in WBSEDCL)। এই বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে এই মুহূর্তে। তবে স্বস্তির কথা হল যে লকডাউন চালু থাকায় চাহিদা একটু কম ছিল। ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ বিল দপ্তরকে (WBSEDCL) প্রতিদিন ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম সরবরাহ করতে হতো।

এক্ষেত্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, করোনা মহামারীর প্রকোপে সরকারের আয় কমে গিয়েছে। তাছাড়া নবান্নের তরফ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে এই চার মাসে কতটা কিয়ায়ে হলো তার হিসাব চাওয়া হয়েছিল। তবে স্বস্তির কথা হল যে, কোন রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বেতন থেকে কোনপ্রকার টাকা কাটা হয়নি। অপরদিকে যারা বিদ্যুৎ দপ্তর এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভাবে কাজে যুক্ত তাদেরও ন্যায্য টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধিকন্তু, সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাপ দিয়ে কোন ভাবে টাকা আদায় করার রাস্তায় হাঁটা হয়নি।

বিদ্যুৎ দপ্তর এর তথ্য অনুসারে, মার্চের শেষভাগ থেকে পরপর চার মাস অনেকেই বিলের টাকা পরিশোধ করতে চাননি। অন্য কথায় বলা যায়, টাকার অভাব পড়ে যাওয়ায় টাকা দিতে পারেননি। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ বা ডোমেস্টিক লাইনের কথাই নয়, বিভিন্ন কারখানার মালিকেরা বিদ্যুৎ দপ্তর কে অনুরোধ করেছিল যে বিদ্যুৎ সংযোগ যেন বন্ধ না করে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই চাই ছিলেন পরবর্তী সময়ে টাকা মিটিয়ে দিতে। আর রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন। তিনি পরবর্তীকালে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বললেন,” করোনা মহামারীর ফলে লোকেরাই নিম্নগামী। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। তাই মানবিকতাবোধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুসারে সমস্ত প্রকার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ২১০০ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। তবে অনেকেই ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দিচ্ছেন। রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর পিডিসিএল (PDCL), এনটিপিসি (NTPC) বা অন্যান্য কয়েকটি সংস্থা থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে। আমরা তাদের প্রত্যেকের টাকা দিয়ে দিয়েছি। অবশ্য এজন্য আমাদেরকে ২১০০ কুড়ি টাকা ধার করা লেগেছে।” তাছাড়া বিদ্যুৎ দপ্তর জানিয়েছে যে, কোন প্রকার জরিমানা নেওয়া হবে না।