মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ৫ ছেলে! করোনায় ১৫ দিনে নিশ্চিহ্ন গোটা পরিবার
এ এক ভীষণ মর্মান্তিক ঘটনা। করোনায় আক্রান্ত মায়ের মৃতদেহ সৎকারে কাজ করতে গিয়ে পাঁচজন ছেলেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। 15 দিনের মাথায় পরিবারের প্রত্যেকে মারা গেলেন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিদিন মৃতের সংখ্যায় আমাদের দেশ নতুন করে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। আর এখন যে ঘটনাটি বলতে চলেছি এটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এর কাতরাসের একটি পরিবারে।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী জানা গেল, গত জুন মাসের দিকে একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে পরিবারের সবাই যোগদান করেছিল। প্রত্যেকে সেখানে আনন্দ করছিল।এমনকি ওই পরিবারের সব থেকে বয়স্ক যে সদস্য টি ছিল তিনিও যোগদান করেছিলেন। আর ৮৮ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করছিলেন।
কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ক্রমাগত দুর্বল বোধ করতে থাকেন তিনি। ফলে পরবর্তীকালে তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়। আর ঠিক পনেরো দিন পূর্বে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। মায়ের এরকম মৃত্যুশোকে পাঁচ জন ছেলে প্রচন্ড কান্নাকাটি করে। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য তারাই দেহ কাঁধে করে নিয়ে শ্মশানে চলে যায়।
কিন্তু তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে বাড়িতে ফিরলে প্রত্যেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কারণ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল যে করোনা রোগের কারণেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটেছে।তাদের ভাগ্যের পরিহাস যেন তখনই কাজ করতে শুরু করে দিয়েছিল। আস্তে আস্তে বৃদ্ধার 55 টি সন্তানই অসুস্থ হতে শুরু করেন।সামান্য কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রত্যেককেই হসপিটালে ভর্তি করা হয়। আর মর্মান্তিকভাবে মাত্র 15 দিনের মাথায় পাঁচজন ছেলেটি এত কম বয়সে মৃত্যু ঘটে।
তবে হাসপাতাল থেকে জানা গেছে এই পাঁচ জনের মধ্যে একজন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিল। ফলে তার মৃত্যু যদিওবা ক্যান্সার রোগের কারণে হয়েছে বলে মনে করা হলেও অন্য চারজনেরই মৃত্যু হল করোনা রোগে। অর্থাৎ ভাগ্যের পরিহাসে 15 দিনের ব্যবধানে পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। পুরো এলাকাজুড়ে ঘনিয়ে এসেছে শোকের কালো ছায়া।
অবশেষে, রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় এক ছেলের মৃত্যু ঘটে। অপরদিকে তার বাকি দুই ভাই মারা যান ধানবাদ এর করোনা হাসপাতালে।এছাড়া সোমবার রাত্রিবেলায় ওই রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল কলেজেই মৃত্যু ঘটেছে তাদের অন্য এক ভাইয়ের। মাত্র 15 দিনের মধ্যে একই পরিবারের 6 জন জলজ্যান্ত মানুষের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা পুরো দেশে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করছেন সবাই। তবে অনেকে এও বলছেন যে, এই ঘটনা থেকেই করোনার ভায়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বাকিদের শিক্ষা নেয়া উচিত।
হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।