রাজ্যসর্বশেষ

করোনা রোগ ধরা পড়তেই আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ

মহামারীতে যত না মানুষ মারা যাচ্ছে, তার থেকে বেশি মারা যাচ্ছে আতঙ্কে এবং দুর্ভাবনাতে। মানুষের করোনা পজিটিভ এসে গেলে আশেপাশের মানুষদের দুর্ব্যবহার মানুষকে করে তুলেছে আরো বেশি অসুস্থ। মানসিক অসুস্থতা বাড়িয়ে তুলছে শারীরিক অসুস্থতা কেও। এইভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে এবং সেই মানুষটির জীবন অবসান ঘটছে।

কিন্তু করোনা পজিটিভ আসায় নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়ার ঘটনা আরো একবার ঘটল পশ্চিমবঙ্গে। এইবারের ঘটনাটি ঘটলো নদীয়ার চাকদহ এলাকায়। সোমবার বিকেল বেলা ওই এলাকার দিলীপ বিশ্বাস নামে একজন বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বৃদ্ধের বয়স ৬২ বছর। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি (Suicide News from Chakdaha: Dilip Biswas, 62 years old man from Chakdaha, Nadia, West Bengal commits suicide due to corona positive report)।

পরিবার সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, দীলিপবাবু পেশায় ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী (Dilip Babu was a fish trader)। কিছুদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। একটানা জ্বর হবার কারণে সোমবার চাকদাহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর এবং তাঁর সমস্ত পরিবারের করোনা পরীক্ষা করা হয় (Corona test done from Chakdaha State General Hospital)। সেখান থেকে জানতে পারা যায় যে দীলিপবাবু করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

দীলিপবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন যে,” করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া মাত্রই খুবই গম্ভীর হয়ে যান দীলিপবাবু। কিছু একটা ভাবতে শুরু করেন তিনি। কারো সাথে বেশি কথা বলেননি তিনি। এরপর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোন করে জানানো হয় যে তাকে মঙ্গলবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপরই তিনি আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার খালি মনে হয় তিনি আর তার বাড়ীর মানুষদের দেখতে পাবেন না। এই বোধহয় তার শেষ দেখা। চিন্তা করতে করতে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।”

ভোরবেলা স্বামীকে ঘরে দেখতে না পেয়ে স্বাভাবিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি দিলীপ বাবুর স্ত্রী। এমতাবস্থায় পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে পাড়ায় খোঁজ করতে শুরু করেন তার। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া যায়নি দীলিপবাবুর। এইভাবে খোঁজ করতে করতে হঠাৎ দেখা যায় যে, বাড়ির সামনে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চলছেন তিনি। এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই দীলিপবাবুর বাড়ির সদস্যদের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ে। এই মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি।

দীলিপবাবুর পরিবারের লোকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষন থানার পুলিশ কর্মীরা এসে উদ্ধার করেনি। ওই অবস্থায় পড়েছিলেন দীলিপবাবু। পুলিশকে ঘটনাটি জানানোর পরও বহুক্ষণ পুলিশের সেখানে আসেনি। অবশেষে বারবার বলার পর বেলা এগারোটা নাগাদ চাকদা থানার পুলিশ কর্মীরা মৃতদেহটি নিয়ে যান।

a businessman commits suicide due to corona positive report
A businessman commits suicide due to corona positive report

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।