কলকাতাভাইরালসর্বশেষ

“মহিলারা কি কারনে যে রাত্রিবেলা তে মদ খায়!”- অশালীন বক্তব্য অভিষেকের উকিলের

এই মুহূর্তে গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আনন্দপুর কাণ্ড নিয়ে। সূত্র থেকে জানা গেল, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত দুজন এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়ে ছিলেন। মাঝে মধ্যে মেলামেশা করে ফেল থাকতেন। আর এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ওই পক্ষের আইনজীবী। আর তার মক্কেল কে বাঁচাতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করে ফেললেন।

বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে নির্যাতিতা ও তার ক্লায়েন্টের গোপন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন অভিষেকের আইনজীবী। এরপর তিনি নির্যাতিতাকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করলেন। এই মামলায় নিগৃহীতা কে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এরপর তিনি বলেন,”মেয়ে ছেলেরা যে কেন রাত্রে বেলা মদ খায়!” (Why girls drink alcohol at night-says Abhishek Pandey’s Lawyer to the victim girl in Anandapur, Kolkata molestation case.)

আজকে অভিযুক্ত অভিষেককে সেপ্টেম্বরের 16 তারিখ পর্যন্ত পুলিশ আটকে রাখবে বলে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কোর্ট। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারে অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডেকে পুলিশ এরেস্ট করেছে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকেই বোঝা গেল যে অভিষেক এবং নির্যাতিতা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়ে ছিলেন। তবে গোলমাল বাধল পরে একদিন। তারা দু’জনে কোন একটা ব্যাপার নিয়ে ঝগড়াঝাটি করছিলেন। আর এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়।

এখন আলিপুর আদালতে দুজনের ভেতরকার রিলেশনশিপ এর ব্যাপারটা বলে দেন অভিষেকের আইনজীবী। আর তিনি জামিনের আবেদন করেন। তার বক্তব্য ছিল যে, যে ধারা অনুসারে তার মক্কেল কে জেল হাজত দেওয়া হয়েছে তা প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। তার মতে, তার মক্কেল ডাকাতি, খুন বা ধর্ষণ করে নি। তাছাড়া অভিযোগকারিণী মহিলার সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল তার। তাছাড়া দীঘা কিংবা মন্দারমণিতে একই সাথে বেড়াতে গিয়েছিলেন দুজনে।

তবে এরপরই তিনি আপত্তিজনক কথা বলে বসলেন। তিনি বললেন যে, মেয়ে ছেলেরা কেন এত রাত্রি বেলা মদ খায়! মদের দোকান কি কারনে এত রাত্রি বেলা ওপেন থাকে? অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি আইনজীবী তাকে থামিয়ে দেন। তিনি তাঁকে যথোপযুক্ত শব্দ চয়ন করতে বলেন।

অপরদিকে, অভিযোগ পান্ডের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে যান সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান যে, আরো বেশি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। পুরো ঘটনাটি কে নতুন করে সাজাতে হবে। 14 দিনের জেল হেফাজত দেওয়ার আবেদন করছি।
এরপর জাস্টিস সেপ্টেম্বর 16 তারিখ পর্যন্ত অভিষেককে জেলহাজতে নির্দেশ দেন। অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়, উইটনেস এবং নির্যাতিতা গোপন সাক্ষী দেবেন বলে আবেদন করেন। তাদের এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।