মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার কাছে বিএসএফ জওয়ান কে মারধর। ভাইরাল ভিডিওতে তোলপাড়

বিএসএফকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার শীতলা মন্দিরের পাশে দিয়ে যাচ্ছিল শাসকদলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির মিছিল, সেই সময় সেই মিছিলে প্রবেশ করে বিশ্বজিৎ সহানি নামে এক বিএসএফ জওয়ান। সেই মিছিলে ঢুকে পড়ার জন্য বেধড়ক মারধর করে, সেই মিছিলে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা। এই মারধরের ফুটেজ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে। (Murshidabad News : BSF Jawan Biswajit Sahani is beaten from a rally in Kandi thana, Shitala Mandir, Murshidabad)

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে বেধড়ক মারা হচ্ছে সেই বিএসএফ জওয়ানকে। ঘটনাটি প্রকাশে এলে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এই সিসিটিভি ফুটেজ এ যাদের দেখা গেছে সেই বিএসএফ জওয়ানকে মারতে তাদের এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনাটির প্রায় ৭২ ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো কোন দোষীর শাস্তির ব্যবস্থা হয়নি। এই ঘটনা সম্পর্কে সেই আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানের দাদা বলেন,” দোষীদের খুঁজে বের করা প্রশাসনের দায়িত্ব, কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসন এখনো কিছু করছে না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি তারা যেন দোষীদের খুঁজে বের করে এবং যথাযথ শাস্তি দেয়।

আহত জওয়ানের হাতে এবং মাথায় গুরুতর চোট লাগে। ৩২ বছরের এই জওয়ান এখন চিকিৎসাধীন। খবর সূত্রে জানা গেছে যে আহত জাওয়ান এর বড় দাদা ও বিএসএফ, এবং ছোট ভাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের ঘটনার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আহত জওয়ানের বাড়ির লোক। সোমবার নাগাদ’ আহত এই জওয়ানের বাড়িতে পৌঁছান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে,” এনারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের রক্ষা করছেন , অথচ নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পারছেন না”।

তিনি স্থানীয় পুলিশদের নিশানা করে বলেন যে, এনারা আপনাদের সহ ভাই, আপনারা রাজ্যের পুলিশ কিন্তু উনারা কেন্দ্রের পুলিশ, আপনাদের উচিত এনাদের ও দেখা। আক্রান্ত জওয়ানের বাড়ি তৃণমূলের এক দল যান এবং তারা আক্রান্ত জওয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় ছবি তোলেন,এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এবং এর জন্য আক্রান্তের পরিবার আরো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানের ভাই জানান যে, বিনা অনুমতিতে ফটোগুলি তুলেছেন এবং সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। ফোন করে বারণ করে দেওয়ার পর দু তিনটে ছবি সেখান থেকে ডিলিট করে। এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতারা এই ব্যাপারটাকে অত্যন্ত নিন্দার ব্যাপার বলে মনে করছেন।