খবরদেশসর্বশেষ

বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের, নির্যাতিতা হলেও শ্বশুর বাড়িতে থাকার সম্পূর্ণ অধিকার আছে বৌমার

অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট নিল ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রায়শই খবর পাওয়া যায় শ্বশুর বাড়িতে মেয়েদের দলিত এবং অত্যাচারিত হওয়ার। এখন সেই অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাবে মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণা করা গার্হস্থ্য হিংসা আইন অনুযায়ী মেয়েরা এবার থেকে শ্বশুরবাড়িতে তার অধিকার দাবী করতে পারবে। কোন মেয়েকে যদি শশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তবে সেই মেয়ে এই আইন অনুযায়ী সেই শ্বশুরবাড়িতে থাকার দাবি করতে পারেন (A big verdicts from Supreme Court : Despite being abused the daughter in law has every right to stay at home – Domestic Violence Act- grihastha hingsha ain)।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আসা একটি মামলার বিচার করে রায় নির্ধারণ করার সময় বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায় মেয়েদের আর শ্বশুরবাড়িতে লাঞ্ছিত হতে হবে না, অপরদিকে মেয়েরা তার অধিকার আদায় করতে পারবে (Stop bou nirjaton)।

bou nirjaton symbolic photo
বউ নির্যাতনের প্রতীকী ফটো (ফটো ক্রেডিট : DCP TV YouTube channel)

“শেয়ার্ড হাউসহোল্ড” -এর জোরে মেয়েরা তার শ্বশুরবাড়ির উপর থাকা অধিকার দাবি করতে পারেন। এই নিয়মটি ২০০৫ সালের আইনে বলা হয়েছিল। এই নিয়ম অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে যদি স্বামীর নামে নাও হয়ে থাকে তার বদলে যদি কোনরূপ আত্মীয়র নামে হয়ে থাকে তবুও বউ মেয়েদের সেই বাড়ির উপর অধিকার থাকবে। এই আইন অনুযায়ী দাবি করার পিছনেও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।

যে মেয়েটি তার বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে পরিবারের সদস্য হিসেবে ছিলেন সেই একমাত্র এই আইন অনুযায়ী শ্বশুর বাড়ির উপর দাবি তুলতে পারেন (je meyeti sasur bari te dirghodin chilen tini ei ain anujayi sosur barir upor dabi korte paren)।

সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন এ দেশে প্রায়সই শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের অত্যাচারিত এবং দলিত হওয়ার খবর পাওয়া যায় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেইগুলির দিক থেকে তেমন রিপোর্ট জমা হয় না। বিচারপতিদের এইরূপ পদক্ষেপে মেয়েরা অনেকটাই শান্তি পাবেন বলে মনে করা হয়েছে। মেয়েরা অবশেষে লড়াই করে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবে, তাদের মুখ বুঝে অত্যাচারিত বা দলিত হতে হবে না।

এছাড়াও ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ “শেয়ার্ড হাউসহোল্ড” সম্বন্ধে কিছু কথা জানিয়েছিলেন, সেটি হল ” বাড়ির মালিকানা যতজনের নামেই হোক তার মধ্যে স্বামীর নামটিও থাকতে হবে তবেই এই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।” এর পাশাপাশি গার্হস্থ্য হিংসা বিষয় উঠে আসা যেকোনো মামলার বিচার করবেন ফ্যামিলি কোর্ট (Shared Household)।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।