স্বামী-সন্তানের সামনেই বউকে ধর্ষণ করলো স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামীর বন্ধুরা

প্রতিনিয়তই হয়তো আমাদের আশেপাশে এমন ঘটনা ঘটে থাকে, যা হয়তো সমস্তটাই সংবাদমাধ্যমের পাতায় উঠে আসে না। কিছু কিছু ঘটনা প্রকাশিত হয়, যা দেখে আমাদের শরীরে শিহরণ জাগে এবং গা ঘৃণায় রি রি করে ওঠে। মানুষ এতটা পাশবিক হতে পারে তার প্রমাণ আমরা পাই এই সমস্ত ঘটনার মাধ্যমে। (Rajasthan Rape News : Ex husband rapes his ex wife in front of her present husband and son in Baran, Rajasthan, India)

এরকম একটি শিহরণ জাগানো ঘটনা ঘটে গেছে রাজস্থানের বারান জেলায়, এক মহিলাকে তার স্বামী সন্তান এবং নাবালিকা বোনের সামনে ধর্ষন করা হয়, যাকে বলে গণধর্ষণ। ধর্ষণে অভিযুক্ত হচ্ছে সেই মহিলার প্রাক্তন স্বামীর ভাই ও তার বন্ধু বান্ধবরা। ঘটনার সূত্রপাত বারান জেলার এক গ্রামে। গত শনিবার রাত্তিরে মহিলাটি তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। তার বাড়িতে ছিলেন তার নাবালিকা বোন ও ছোট সন্তান। (Swami sontaner samnei bou ke dhorshon korlo prakton swami)

আচমকাই সেই মুহূর্তে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর ভাই ও তার বন্ধু বান্ধবরা ওই মহিলার ওপর চড়াও হয়। পরিবারের সবাইকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠে। সেখানেই ওই মহিলাকে হাত-পা-মুখ দড়ি দিয়ে বেঁধে, ধর্ষণ করে সকলে মিলে। খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। সেখানকার ডিএসপি যোগেন্দ্র সিং বলেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, এমনকি নির্যাতিতা নিজেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে যেটুকু জানা যায় তা হল, ওই মহিলা ডিভোর্সি। কয়েক বছর আগে প্রথম বিয়েটি হয়েছিল তার, কিন্তু স্বামী নপুংসক হওয়ায় তিনি স্বামীকে ত্যাগ করে চলে আসেন এবং নাতা প্রথার মাধ্যমে তিনি অন্য এক পুরুষ সঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন।

এই নাতা প্রথার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়েই বিয়ে না করে একসাথে থাকতে পারেন। যদিও বর্তমান স্বামীর সঙ্গে তার একটি সন্তানও আছে। পুলিশ সূত্র জানা যায় যা, তা হলে সেই প্রতি হিংসা থেকেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার প্রাক্তন দেওর ও বন্ধুবান্ধবরা। যদিও এটি প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে।

এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা পালিয়েছে এলাকা ছেড়ে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে স্থানীয় হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা সমাজের যে কি চরম দুরবস্থা প্রতীক তা হয়তো আমরা অনেকেই বুঝতে পারি। খুব শীঘ্রই আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার। দিনে দিনে এই ধর্ষণ বেড়েই চলেছে, এই নিয়ে একটি বিহিত হওয়া খুবই প্রয়োজন।