কলকাতাসর্বশেষ

আচমকাই মাঝরাতে চালু রোলার, চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল পথচারীর

বিপদ কখনো বলে আসেনা। বিপদ যখন আসে তখন তাকে ঢাকা বার ক্ষমতায় আমাদের কারোরই থাকেনা। এমনই একটি বড় বিপদ ঘটে গেল বড়তলা থানা এলাকার বিডন স্ট্রিট এর গোয়া বাগানে। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসিন্দারা শুতে যাবার তোড়জোড় করছিলেন। হঠাৎ করেই তারা শুনতে পান চিৎকারের আওয়াজ। বাইরে বেরিয়ে দেখেন যে রাস্তার ধারে দাঁড় করানো একটি রোড রোলার এর পেছনে ডান দিকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পড়েছেন একজন ব্যক্তি। প্রথমে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন বহু মানুষ। কিন্তু কিছুতেই যখন তাকে উদ্ধার করতে পারেন না তারা তখন পুলিশকে খবর দেন তারা। (Kolkata Accident News: Goa Bagan, Bidon Street resident Khokon Das crushed in roller, police starts investigting)

পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে পৌছে যান। রোড রোলার সরিয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন তারা। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে একটি রোলার আচমকা চালু হয়ে গেল? সেটি চাকায় কিভাবে ওই ব্যক্তি পৃষ্ঠ হয়ে গেলেন? (Baratala Thana Death News)

এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে যে, শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম খোকন দাস। এলাকার ফুটপাতে থাকতেন তিনি। সাইকেল ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করতেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করেছেন যে, গোয়া বাগান এলাকায় একটি রাস্তাতে পিচঢালার কাজ হচ্ছিল। শুক্রবার কাজের শেষে রাস্তার ধার ঘেঁষে রোলার টি দাঁড় করিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে চলে যায় চালক। কোনভাবে সেটি চালু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, যখন চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন গাড়ির ইঞ্জিন চালু ছিল। পুলিশ আসার আগে ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়। ঘটনাস্থলে একটি মদের বোতল উদ্ধার করে তদন্তকারীরা।

মনে করা হচ্ছে যে, খোকন কোনভাবে মদ্যপ অবস্থায় রোলার টি চালু করে দিয়েছিলেন। ওই অবস্থায় সেটি পেছনে ঘুরতে থাকে। রোলারের চালকের বসার জায়গা থেকে কোন ভাবে নামতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় খোকন।

তবে ঘটনাস্থলে অন্য কেউ ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল জানার জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হবে। তবে এখনো কোনো সিসিটিভি ক্যামেরার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কোন প্রত্যক্ষদর্শীরও দেখা পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে রোলারের চালকের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। সে জানিয়েছে যে, শুক্রবার রোলার লক করে সে চলে গেছিল।

খোকনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই একা থাকেন খোকন। তার স্ত্রী রাজারহাটে থাকেন। স্বামীর মৃত্যু র খবর পেয়ে থানায় এসেছিলেন তিনি। তবে পরে তিনি জানান যে, গত একবছর স্বামীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল না তার। মেয়েকে নিয়ে দিদির বাড়িতে থাকতেন তিনি। দুর্ঘটনা নাকি কোন ভাবে চক্রান্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

goa bagan resident khokon das crushed in roller, police starts investigting
আচমকাই মাঝরাতে চালু রোলার, চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল পথচারীর