ইউটিউব এর কোন ভিডিও দেখে আপনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনবেন ?
একদিকে যেমন বিভিন্ন গবেষকরা দৈনন্দিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে মানুষের দ্রুত হৃদ স্পন্দন এবং উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায় সেই বিষয়ে, অপরদিকে গবেষকদের একাংশ সমীক্ষার মাধ্যমে দাবি তুলেছেন ইউটিউব -এর অন্তর্গত বিশেষ কিছু ভিডিও দেখলেই কমতে পারে উচ্চ রক্তচাপ এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের হার। এও কি সম্ভব ? কোনরকম চিকিৎসা ছাড়াই শুধুমাত্র কয়েকটি ভিডিও দেখে উচ্চ রক্তচাপ এবং দ্রুত হৃৎস্পন্দন কমানো যেতে পারে ! আসুন দেখে নেওয়া যাক গবেষকদের মতামত (365 Reporter Bangla Health Tips : By watching which type of youtube videos can control your fast heartbeat and high blood pressure)।
প্রতিনিয়ত গবেষকদের নতুন নতুন সমীক্ষা বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নতুন সমীক্ষা। তবে এইবার গবেষকরা সমীক্ষা করল ইউটিউব এর বিশেষ কিছু ভিডিও নিয়ে যেগুলি দেখলে অল্প সময়ের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ, দ্রুত হৃদ স্পন্দন স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা যাবে এবং তার সাথে কাটবে মানসিক অবসাদ।
জানা গেছে ইউনাইটেড কিংডম-এর লিডস বিশ্ববিদ্যালয় (Leeds University, London) এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া পর্যটন বিভাগ (Western Australia Tourism Division) একত্রিত ভাবে সমীক্ষা চালান এই বিষয়ের উপর। তাদের মতে জানা গেছে জীবজন্তুর কিছু ভিডিও দেখলে খুব কম সময়ে কমে যেতে পারে মানসিক অবসাদ। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের হার কমিয়ে আনা যায় সহজেই।
জানা গেছে ২০১৯ সালে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কে নিয়ে শুরু হয়েছিল গবেষণা। সময়টা ছিল শীতের মৌসুম এর ছুটির সময়। সেই সময় এই স্বেচ্ছাসেবীদের উপর গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাদের মানসিক স্থিতি, মন খারাপ, মানসিক অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন সবকিছু পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছিল গবেষণা শুরু হওয়ার প্রথমে। এরপর তাদের বসিয়ে দেওয়া হয় জীবজন্তুর মজাদার কিছু ভিডিও সামনে। কিছু সময় সেই ভিডিও উপভোগ করার পর আবার পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পরীক্ষা করার ফলস্বরূপ দেখা যায় মানসিক অবসাদ সহ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন অনেকটা স্বাভাবিক জায়গায় নেমে এসেছে। এবং আগের থেকে তারা যথেষ্ট স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে উঠেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন কিছু খারাপ দিক আছে তেমন একাধিক ভাল দিকও আছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা এবং তাদের মতে সেই ভালো দিক গুলি জনগণের ভালোর জন্য তুলে ধরা উচিত (According to doctors, social media has both benefits and side effects)। তাই যেখানে তারা দাবি তুলেছেন গবেষণার মাধ্যমে যে বিশেষ কিছু সংখ্যক ভিডিও মানুষের মনকে যথেষ্ট শান্তি প্রদান করতে পারে, সেখানে আশা করা যাচ্ছে জনগনরাও এর ফল ভোগ করবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই পোস্টে সাধারণ হেলথ টিপস বলা হয়েছে। আর বেশি সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।