খবরবিনোদনসর্বশেষ

“আমাকে চুমু না দিলে সিনেমাতে সুযোগ পাবে না”- অভিনেত্রীকে অশালীন মন্তব্য প্রযোজকের

“স্রোতে গা ভাসাই নি বলে আমরা নন রুলিং পার্টি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি বাংলা টলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে।” এই ভাবেই বাংলা সিনেমা জগতের বিপক্ষে বোমা ফাটালেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।

সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর পর নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুধু বলিউডেই নয় ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমাগত টলিউডে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় অভিনেত্রী আর অভিনেতারাও প্রতিবাদ করে বলছেন টলিউড একের পর এক হয়ে চলেছে স্বজন পোষণ, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির ইত্যাদি।

সাম্প্রতিককালে শ্রীলেখা মিত্র কে নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণের বিপক্ষে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা যায়। শ্রীলেখা তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তার সমস্ত অভিযোগ প্রকাশ করেন। তার দেখাদেখি এই অভিযোগে সামিল হলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।

জনপ্রিয় বাংলা খবরের কাগজ আনন্দবাজার পত্রিকা তে তিনি একটি সমীক্ষা লেখেন। আর এই সমীক্ষায় তিনি তার দীর্ঘ 22 বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করতে গিয়ে যে কত প্রকারে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি তার ক্যারিয়ারের শুরুতে যে প্রযোজকের সাথে কাজ করেছিলেন সেই সাক্ষাৎকার থেকে শুরু করে আজকের দিন অব্দি কি পরিস্থিতি রয়েছে সিনেমা জগতে তার কথা তুলে ধরেছেন এই সমীক্ষায়।

তিনি বলেন কিভাবে তাকে সিনেমার শুরুতেই একজন প্রযোজক কম্প্রোমাইজ করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তিনি কোন প্রকার কম্প্রোমাইজে নিজেকে ভাসিয়ে দেননি। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে দর্জি প্রডিউসার তার জামার মাপ অন্যায় ভাবে নিতে চেয়েছিলেন।

তিনি আবার দুঃখিত হয়ে পড়েছেন কারণ তারই এক পরিচালক বন্ধু তার থেকে বিশেষ প্রকারের সুবিধা না পেয়ে তাকে সিনেমা থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এর পরে অবশ্য তিনি সেই পরিচালক কে আর বন্ধু হিসেবে স্থান দেননি। তিনি প্রতিবাদ করেছেন টলিউডে যারা নতুন অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করতে চায় তাদের সঙ্গে কিভাবে অন্যায় ভাবে সুযোগ নেওয়া হয়। প্রযোজক অথবা পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না হতে পারলে অথবা চুমুর দৃশ্য গুলো না অভিনয় করতে পারলে তাকে সেই সিনেমা থেকে অনিবার্যভাবে বাদ দেয়া হয়

সমীক্ষার একদম শেষের দিকে দেবলীনা বলেন, “শতকরা 99% এইভাবে ঘনিষ্ঠতা করতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যে এক শতাংশ হলেও ব্যতিক্রম আছেন। আর তাদের কারণেই দেবলীনা দত্তের এই প্রতিবাদ তথা দেবলীনা দত্ত বেঁচে আছেন।” তথাকথিত স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরা নন রুলিং পার্টি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি বাংলা টলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে।” আর যে সমস্ত পরিচালক এবং প্রযোজক কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *