রাজকুমারী হায়ার গোপন পরকীয়া প্রেম ফাঁস হয়ে গেল

নিজের দেহরক্ষী সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমারী হায়া। রাজকুমারী হায়া হলেন দুবাইয়ের এক শাসক শেখ মোহাম্মদ অল মখতুমের ষষ্ঠতম স্ত্রী। রাজকুমারী হায়া হলেন জর্ডনের রাজকুমারী। প্রায় দুই বছর ধরে দেহরক্ষী সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন দুবাইয়ের শাসকের স্ত্রী। জলের মতো টাকা খরচ করতেন সে দেহরক্ষীর জন্য। দামি দামি উপহার তার জন্য রাখা থাকতো। (World News : Secret relationship of Dubai Princess Haya, born in Jordan, with her bodyguard Rasel revealed)

সবকিছুই দেওয়া হতো শুধুমাত্র সমস্ত কথা লুকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু বলে না সত্য কখনো চাপা থাকে না, একদিন না একদিন সকলের সামনে এসে পড়ে সে তুমি যতই চেষ্টা করো ঢাকার। ঠিক সেরকমই হল। রাজকুমারী হায়ার ৪৬ বছর দেহরক্ষীর বয়স ৩৭ বছর। তাদের দুজনার প্রেম প্রায় গোপনে দুই বছর ধরে চলছিল।

এই সমস্ত গোপন তথ্য হোলি লন্ডনের হাইকোর্টে সন্তান হেফাজতের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্যের সন্ধান করতে গিয়ে উঠে আসে। সেখান থেকেই জানা যায় রাজকুমারী হয় এবং তার দেহরক্ষীর প্রেমের কথা। (Dehorokkhi r sathe Dubai er rani Haya je Jordan er Rajkumari er gopon prem)

খবর সূত্রে জানা যায় যে, যখন রাজকুমারী হায়া এবং তার স্বামীর মধ্যে সম্পর্কের শুনানি হাইকোর্টে হয় ঠিক সেই সময় এই ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সন্তানরা কার হেফাজতে থাকবে সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল এবং যেখানে জিতেছে রাজকুমারী হায়া।

জানা যায় যে, ২০৮১৯ সাল নাগাদ দুবাইয়ের মন্ত্রী তার স্ত্রী রাজকুমারী হায়াকে কোনরকম না জানিয়েই তালাক দেন। এবং এর পরেই দুবাইয়ের শাসকের ষষ্ঠতম স্ত্রী রাজকুমারী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দেহরক্ষী রাসেল ফ্লাওয়ার্স এর সাথে। আস্তে আস্তে সেই প্রেম আরও এবং গভীর হয়। সময় যেতে থাকে এবং রাজকুমারী হায়া রাসেলের প্রতি আরও দুর্বল হয়ে পড়েন।

কোথাও গেলে রাজকুমারী চাইতেই রাসেল তার সঙ্গে যাবে এবং একসঙ্গেই তারা রাতে ঘুরতে বেরিয়ে যেতেন।

খবর সূত্রে জানা যায় যে প্রায় ২০১৬ সালের পর থেকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে রাসেল। এবং প্রেম যত গভীর হয় ততো জানা যায় জলের মতো টাকা রাজকুমারী সেই দেহরক্ষীর পিছনে খরচ করতে থাকেন। সমস্ত ঘটনা ধরা পড়ে গিয়েছিল যে প্রাসাদে হায়া থাকতো সেই প্রাসাদের সিসিটিভি ফুটেজে।

এই সমস্ত ঘটনা যখন হায়ার স্বামী জানেন তখন হায়া ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং তার দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল লন্ডনে। অন্যদিকে রাসেলের স্ত্রী তার স্বামীর এই ধরনের সম্পর্ক শুনে ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছেন।