যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো খুন্তি দিয়ে আঘাত ! নির্যাতিতা শিশু ভর্তি হাসপাতালে

Kolkata : যৌন হেনস্থা আমাদের সমাজে এখন একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু এ ধরনের ঘটনা আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার পেয়ে থাকি, যার শিকার কখনো বড়রা বা কখনো শিশুরাও হচ্ছে। (Latest News, photos, videos on Minor Girl Torture : Senior didi does this with this 9years old kid girl on Dumdum home)

শিশুরাও এ থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছে না, সম্প্রতি একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়েছে তা হল, এক শিশুর সারা শরীরে এবং যৌনাঙ্গ স্থানেও ঘা ভর্তি হয়ে গেছে তার, যা অত্যন্ত এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমে, শিশুটি দমদমের এক হোমে থাকত, সেখানেই সিনিয়র দিদিরা তার ওপর অত্যাচার করত গরম খুন্তি দিয়ে আঘাত এমনকি যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিতো। একজন বছর ৯ এর বালিকা সে কিভাবে অত্যাচার ও নৃশংসতা সহ্য করবে?

এই সমস্ত খবর শুনে বা দেখে এটাই মনে হয় যে, মানুষের এখন মনে হিংস্রতা অমানবিকতায় ভরে গেছে। না হলে একজন শিশুকে এ ধরনের অত্যাচার অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনো করতে পারে না। বর্তমানে নাবালিকা হসপিটালে ভর্তি যেটুকু সূত্রের খবর জানা যায়, শিশুর বাবা-মা দুজনই আর বেঁচে নেই, এক কথায় অনাথ এই শিশুরা তার মাসির বাড়িতে থাকতো। তারা দুই বোন মাস চারেক ধরে তারা এই দমদমের হোমে থাকতো।

এখানে রেখে যায় তার মেসো কিন্তু তার মাসির বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় যে, কাউকে কিছু না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং একপ্রকার জোর করেই তাদের দুই বোনকে এখানে রেখে যায় তার মেসো। গত চার মাস ধরে কোন খোঁজ খবর না পাওয়ায় তার মাসি উদ্যোক্তা হয়ে জোর করেই হোমে এসে দেখে তাদের এই করুন অবস্থা। তিনি সাথে সাথেই ক্যানিংয়ে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তাদের এবং পাশাপাশি প্রতিবেশীদের তৎপরতায় পুলিশের কাছে খবর চলে যায়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয় যে, এটি দমদম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা কিছু করতে পারবে না। (Dumdum Home e sishur jounage senior didira lonkar guro, khunti dia aghat korto)

শিশুটি কে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু সেখান থেকে তাকে ট্রানস্ফার করে দেওয়া হয় কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। মিডিয়াতে খবরটি সরাসরি প্রচার হতেই সকলেই শিশুটির আরোগ্য কামনা করেছেন, যাতে দ্রুত এই শিশুটি সুস্থ হয় এবং অত্যাচারীদের শাস্তি হয়।