মহালয়ার প্রাক্কালে জেনে নিন মা কালীর জন্ম বৃত্তান্ত
বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই এসে গেল মহালয়া। আর ঠিক একমাস পর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মত জাঁকজমক করে না হলেও এ বছর অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। দুর্গাপুজোর ঠিক ১৫ দিন বাদে আমাদের ঘরে আগমন হয় মা কালীর। সেদিন বাঙালিরা মেতে ওঠে দীপাবলি অনুষ্ঠান নিয়ে। তবে কখনো মনে প্রশ্ন জেগেছে, মা কালীর জন্ম হলো কি করে (365 Reporter Bangla Spiritual : the real origin of Maha Kali) ?
মা কালীর রূপ নিয়ে বহু কল্পকথা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা মা কালীর জন্ম কিভাবে হয়েছে ? মনে করা হয় যে, কালী হলেন কালের স্ত্রী। বাংলা ব্যাকরণ হিসাবে কালের স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে কালী পরিচিত। পুরান মতে দেবাদিদেব মহাদেব হলেন কাল। তিনি সমস্ত সৃষ্টি এবং ধ্বংসের কর্তা। তাই স্বাভাবিকভাবেই তার স্ত্রী হলেন কালী।
বরদান লাভ করে যখন অসুরেরা দেবতাদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন আর কোন উপায় না পেয়ে স্বর্গের শ্রেষ্ঠ দেবতা একত্র হয়ে সৃষ্টি করেন দেবী দুর্গাকে। আর সেই অসুরের প্রধান ছিলেন রক্তবীজ। রক্তবীজ হলেন ভগবান ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত (Raktabija asura earns Lord Brahma’s Ashirvad )। তিনি ব্রহ্মার থেকে বর চেয়ে ছিলেন যে, যে স্থানে তার শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়বে, সেই স্থান থেকে জন্ম নেবে আরেকটি অসুর। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মা দুর্গার ভুরুর মাঝখানে থেকে জন্ম দিলেন মা কালীর।
মা কালীর রূপ দেখে স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে গেছিল অসুরেরা। অসুরদের হারিয়ে বিজয় আনন্দে নৃত্য করেছিলেন কালী। কালী এমন তাণ্ডব নৃত্যে মেতেছিলেন যে তার তান্ডব লীলায় ধ্বংস হতে বসেছিল সমস্ত পৃথিবী। মা কালীর এই তান্ডব লীলা দেখে দেবতারা ভয় পেয়ে দেবাদিদেব মহাদেব কে অনুরোধ করেন মা কালী কে শান্ত করতে।
অবশেষে সবকিছু স্তব্ধ করার জন্য দেবাদিদেব মহাদেব (Devadidev Mahadev lies down in front of Maha Kali) মহাকাল সামনে শুয়ে পড়েন। তান্ডব লীলায় মত্ত ছিলেন মা কালী, সামনে শুয়ে থাকা স্বামীকে দেখতে পাননি তিনি। তাই হঠাৎ করে যখন স্বামীর গায়ে পা লেগে যায়, তখন তিনি লজ্জায় জিভ বের করেন। মা কালীর এইরূপ আমরা যুগ যুগ ধরে পুজো করে থাকি। দেবাদিদেব মহাদেব এইভাবে শান্ত করেছিলেন মা কালী কে।