গাছ লাগিয়ে কোটিপতি হওয়ার উপায় – Gach Lagiye Kotipoti Howar Upay
টাকা মানুষের জীবনে খুবই একটি মূল্যবান বস্তু, যা না থাকলে বর্তমান জীবন অচল, তাই টাকার পিছনে আমরা প্রতিনিয়তই ছুটছি। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের জীবিকা নির্বাহ করে, শুধু মাত্র আমাদের মনের মধ্যে নানারকম শখ স্বাদ-আহ্লাদ মেটানোর জন্য। জীবনে টাকা খুবই প্রয়োজনীয়, অনেকে আবার কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে। (Lifestyle Tips Bangla : You may become crore pati by planthing chandan gach Sandalwood)
কথাতেই আছে “ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন ” এখানে লাখ না কোটি টাকার গল্প শোনা যায়, বিষয়টি হলো পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান গাছ চাষ করে আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। সে খবরই দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে দেখা বলা হচ্ছে, চন্দন গাছ চাষ করুন এই গাছ চাষ করেছেন হরিয়ানার এক কৃষক, তিনি বলেছেন যে, চন্দন গাছ চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক এবং এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। (kivabe Chandan Gachh lagiye koti poti howa jai)
স্বাভাবিকভাবেই এটি একটি সুগন্ধি, পূজার্চনা বিভিন্ন উৎসবে চন্দন সকলেরই একটি প্রয়োজনীয় বস্তু। আর চন্দন গাছের পৃথিবীর সবথেকে দামি গাছ, তবে এই গাছ চাষ করার পদ্ধতি আছে। চন্দন গাছ ঢালু জমিতে চাষ করা হয়, যেখানে জল জমে না, কারণ এই গাছ চাষ করতে বেশি জল এর প্রয়োজন হয় না। এই গাছ চাষ করার জন্য পাঁচ ডিগ্রি থেকে চল্লিশ ডিগ্রি উষ্ণতা দরকার। এই গাছ যখন বৃক্ষ হয় তখন প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি কেজি চন্দন, গাছ থেকে পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা, তবে শুধুমাত্র চন্দন গাছ চাষ করলে হবেনা, চন্দন গাছের সাথে হোস্ট চাষ করতে হবে।
দুটি গাছ সমানভাবে যত্ন করে বেড়ে তুলতে হবে যদি এই হোস্ট গাছ নষ্ট হয়ে যায়, তখন দেখবেন চন্দন গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি মনে করে থাকেন, চন্দন গাছ চাষ করবেন তাহলে এটাও জেনে রাখুন এ খরচ পড়বে বিশাল। প্রতি গাছের দাম পড়বে পাঁচশো টাকা করে, গাছটিকে বৃক্ষ রোপন করতে চায় ১২ বছর সময় লেগে যায়, প্রথমদিকে গাছটি থেকে কোন গন্ধ পাওয়া না এবং এটি দামি গাছ হওয়ার জন্য চুরি হওয়ার ভয় থাকে।
তবে এই গাছ আপনি চাষ করে বিদেশে রপ্তানী করতে পারবেন না, এটা শুধুমাত্র সরকার পক্ষের কাছেই বিক্রি করতে হবে। সরকারই একমাত্র পারবে বিদেশে রপ্তানী করতে, আনুমানিক একটা হিসাব দিয়ে দিয়েছে তা হল, আপনি যদি এক একর জমিতে চন্দন গাছ চাষ করার কথা ভাবলে তাহলে তার লাভ হতে পারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা।