কলকাতারাজ্যসর্বশেষ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডক্টর প্রদীপ ভট্টাচার্য

শ্যামনগরে বাস করে প্রদীপ বাবুর নাম শোনেননি এরকম লোক পাওয়া সত্যিই মুশকিল। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ডাক্তার বাবু। শ্যামনগরে প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ একবারের জন্য হলেও প্রদীপ (Dr Pradip Bhattacharya) ডাক্তার বাবুকে দেখিয়েছেন। তাছাড়া এই করোনা কালে তিনি কখনো কখনো পারিশ্রমিক ছাড়াও রোগী দেখেছেন। এই মহামারীর সময়েও তিনি একদিনের জন্যও রোগী দেখা বন্ধ করেননি।

কিন্তু ভালো মানুষ হয়তো বেশি দিন থাকে না। আর এটাই আবারো ঘটে গেল। আজ আগস্টের ১০ তারিখে বেলা ৩ টে বেজে ৪০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রদীপ বাবু।

গত জুলাই মাসের ৮ তারিখে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাকে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়। জুলাই মাসের ১৩ তারিখে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে।

তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় ছিলেন। এরপর আগস্ট মাসের এক তারিখে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। অপরদিকে বাড়িতে এই ডাক্তার বাবুর ছেলে এবং স্ত্রী ও করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার বিল ১৭ লক্ষাধিক হয়ে যায়। আর সেই সংকটের মুহূর্তে পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় স্থানীয় ক্লাব গুলি।

কিন্তু একমাস যুদ্ধ করার পরেও শেষমেষ মৃত্যুর কাছে হেরে যেতে হলো তাকে। আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। ‌মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

আর এই ক্ষেত্রে তাকে বাঁচানোর জন্য এলাকাবাসী(Shyamnagar News) প্রচন্ড সাহায্য করেছিলেন। তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পাড়ার ক্লাব সহ আরো অনেকে। হসপিটালের বিপুল খরচ যোগান দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষমেষ প্রদীপ নিভে গেল।

আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি ডাক্তারবাবু। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন, আমাদের প্রত্যেকেরই একদিন না একদিন দেখা হয়ে যাবে।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।