পৌরসভার জল খেয়ে মৃত্যু হল দুইজনের আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে
জল সরবরাহ করা হয় পৌরসভার তরফ থেকে এবং সেই জল খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে যায় পুরসভার একজন ৫২ বছরের কর্মী এবং সাথে এক বন্দী যিনি আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে ছিলেন। যে পৌরসভার কর্মী মারা যান তিনি থাকতেন কলকাতার ভবানীপুরের শশিশেখর বসু রোডে। এখানে এক আবাসন ছিল যেখানে থাকতেন ওই কর্মী। যে,বন্দী মহিলা মারা গেছে তার নাম হলো রিমকি তামাং। খবর সূত্রে জানা গেছে যে, আলিপুরের যে মহিলার সংশোধনাগার এবং আলিপুর শশীর শেখর বসু রোডের বিভিন্ন এলাকায় এই জল দূষণের প্রভাব দেখা গেছে। ( Prisoner Rimki Tamang dies after drinking polluted water in Alipore Women Correctional Home, Sashi Sekhar Road)
এই বিষাক্ত জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন ৭০ জন। কেউ কেউ এতটাই অসুস্থ হয়ে গেছে যে কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন বাড়িতে। ৫২ বছরের যে পুরো কর্মী এই জল খেয়ে মারা যান তার বাড়ি ওড়িশায়। কাজের সূত্রে তিনি কলকাতার থাকতেন। আলিপুরের সংশোধনাগার সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে, রিমকি তামাং হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তার সঙ্গে আরো চারজন বন্ধিও অসুস্থ হয়ে ছিলেন। রিমকির অবস্থা গুরুতর হওয়ার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এসএসকেএম-এ তার মৃত্যু হয়।
খবর সূত্রে জানা গেছে যে, শশিশেখর বসুর রোডে যে শ্রমিক আবাসন ছিল সেখানে কল থেকে নোংরা পড়তে অনেকেই দেখেছিলেন, কিন্তু তারা বলেন যে, তারা এই জল সেদিনকে খেয়ে ছিলেন এবং খাওয়ার পরেই এক এক করে সকলে অসুস্থ হয়। অনেকে এই জল খেয়ে বারবার মলত্যাগ করতে থাকে অনেকে আবার বমি করতে থাকে। মৃত পৌর কর্মী ভুবনেশ্বর সহ তার মেয়ে এবং তার জামাই অসুস্থ হয়ে ছিলেন।
ভুবনেশ্বরের জামাই বলেন যে ৭ দিন আগে তার শশুর ঐ আবাসনের চৌবাচ্চাটি রয়েছে সেখান থেকে জল খেয়ে ছিলেন এবং তার পরেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হন। বারবার বমি এবং পায়খানা করতে থাকেন, অবশেষে যখন তার অবস্থা আরো গুরুতর হয় সেই সময় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামের একটি হাসপাতালে।
কিন্তু সেই হাসপাতলে ওই মৃত কর্মীকে যখন করোনা টেস্টের কথা বলা হয় সেই সময় তাদের বাড়ির লোকেরা তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল এ নিয়ে যান এবং সেখানে করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। এরপর পার্কসার্কাসের নার্সিংহোমে অবশেষে যখন ভুবনেশ্বরকে ভর্তি করা হয় সেই সেদিনই রাত্রিবেলা তিনি মারা যায়। জলের এইরকম দূষণ শশিশেখর বসু রোডে মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে।